বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হয়। তাই, ঘরে সবসময় কেমন যেন একটা
স্যাঁৎসেঁতেভাব থাকে। কখনও কখনও বৃষ্টির জল ঢুকে ভিজিয়ে দেয় ঘরের আসবাব। জল
লেগে নষ্ট হওয়ার ভয়ে আজকাল অনেক বাড়িতেই আধুনিক বেলজিয়াম কাচ বা রট
আয়রনের আসবাব ব্যবহার করা হয়। যাই হোক না কেন, কাঠের তৈরি কোনও না কোনও
আসবাব প্রায় সকলের বাড়িতেই থাকে। সারা বছর সেভাবে নজর না দিলেও বর্ষার
স্যাঁৎসেঁতে আবহাওয়ায় সেগুলির আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয়। কীভাবে খেয়াল
রাখবেন কাঠের তৈরি আসবাবের? আজ থাকল তারই হদিশ-
জানলা বা
দরজার সামনে কাঠের আসবাব রাখবেন না। দূরে কোথাও রাখুন। যাতে , কোনও ভাবে
জলে না ভেজে। কারণ, বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে এলে ক্ষতি হত পারে কাঠের।
বর্ষায়
কাঠে পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে। কাঠের আসবাবের ক্ষতি না চাইলে দু’বছরে একবার
পালিশ করে নিন। ফলে, আসবাবে থাকা ছোটো ছোটো ছিদ্রগুলির মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
সহজে নষ্ট হবে না।
মাটি
থেকে সামান্য উপরে রাখুন কাঠের চেয়ার, টেবিল বা আলমারি। নিচে ইঁট বা ওই
জাতীয় কিছু রেখে দিন। সরাসরি মেঝেতে রাখলে ভেজাভাবের কারণে ক্ষতি হতে পারে
আসবাবের।
এয়ার কন্ডিশনার ঘরের আর্দ্রতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাঠের আসবাবের জন্য যা খুবই প্রয়োজন। এয়ার কন্ডিশনার চালান মাঝেমধ্যে।
আর্দ্রতা
শুঁষে নিয়ে বর্ষাকালে কাঠের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। সেই কারণেই কখনও কখনও দরজা
বা ড্রয়ার একবার আটকালে আর খুলতে চায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেল
বা মোম জাতীয় পদার্থ মাখিয়ে রাখুন কাঠের গায়ে।
ন্যাপথলিন
আর কর্পূর স্যাঁতস্যেঁতে ভাব দূর করার জন্য দারুণ কার্যকরী। তাছাড়া,
পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার ক্ষমতাও রয়েছে। নিমপাতা বা লবঙ্গও একই কাজ করে।
তাই, কাঠের আলমারি বা শো-কেসে রেখে দিন কয়েকটি ন্যাপথলিন বল বা নিমপাতা।
বাজারচলতি একরকম স্প্রে আছে, সেটি ব্যবহার করলে ভেজাভাব থেকে রক্ষা করা যায় কাঠের সামগ্রীকে। ফলে, টেকে অনেক বেশিদিন।
ঘর
পরিষ্কার রাখুন। কাঠের আসবাবের পিছনে, নিচে ও কোনায় অনেক সময় ময়লা জমে
থাকে। বর্ষাকালে নিয়মিত পরিষ্কার করলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
ভেজা
কাপড় দিয়ে কাঠের আসবাব পরিষ্কার করবেন না। শুকনো পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার
করে ধুলো পরিষ্কার করুন। নাহলে, ধুলো জমে আস্তে আস্তে নষ্ট হতে থাকে কাঠের
স্বাভাবিক সৌন্দর্য।
বর্ষাকালে
কাঠের আসবাব রং করা বা নতুন করে তৈরি না করাই ভালো। কারণ, রং সহজে শুকোতে
চায় না। ফলে, ক্ষতি হয় কাঠের তৈরি আসবাবের। তাই, এ সময় সাজানোর চেষ্টা না
করে পরিষ্কার রাখার দিকে নজর দেওয়া সবথেকে জরুরি।

0 comments: