নিজেদের আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও নজর দিতে হয়। আর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা ঘরে অনেক রকম আসবাবপত্র ও শৌখিন ফার্নিচার কিনে থাকি।
এসব ফার্নিচার ঘরে একাধারে ব্যবহার করতে করতে এক সময় নষ্ট হয়ে যায়।
নিয়মিত ও ভালোভাবে ফার্নিচারের যত্ন নিলে সেগুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে
বাঁচানো যায় এবং বজায় থাকে সৌন্দর্য। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কায়দা
কানুন।
১. অনেক দিনের পুরনো ফার্নিচার ভালোভাবে পলিশ করে নিলে ফার্নিচারগুলো নতুনের মতো দেখায়।
২. ফার্নিচারের সঙ্গে মিল রেখে আনুষঙ্গিক জিনিস কিনুন, যাতে দেখতে সুন্দর লাগে। যেমন, কুশন ও এর কালার।
৩. প্রতিদিন সম্ভব হলে ঘরের সব ফার্নিচার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছুন।
৪. ফার্নিচারের ওপর ধুলোবালি পড়ে থাকলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৫. হার্ডউড মানে ওকের তৈরি ফার্নিচার পরিষ্কার করতে টিক অয়েল ব্যবহার করুন। এতে ফার্নিচারের কালার বজায় থাকবে।
৬. কাঠের তৈরি ছোট কোনো ফার্নিচার কখনোই রোদে ফেলে রাখবেন না বা পানি দেবেন না। এতে জিনিসটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. বাঁশের তৈরি কোনো ফার্নিচার রোদে রাখবেন না। পরিষ্কার করতে পানিও ব্যবহার করবেন না।
৮. নরমাল কোনো ফার্নিচারের যদি রঙ উঠে যায় তাহলে নিজেই সেখানে একটু রঙ করে নিতে পারেন। এতে ফার্নিচারটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
৯. আয়রনের তৈরি ফার্নিচার খুব সাবধানে ব্যবহার করুন। এগুলো কখনোই
পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। পানি লাগলে মরিচা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে
যায়।
১১. অ্যালুমিয়ামের ফার্নিচার স্যান্ডপেপার দিয়ে পরিষ্কার করুন। মাঝেমধ্যে পলিশ ব্যবহার করলে ফার্নিচারের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
১২. সব সময় পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে ফার্নিচার মুছবেন।
১৩. ফার্নিচারের বিভিন্ন খাঁজে বেশি ধুলোবালি জমে। এসব জায়গায় ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করুন।
১৪. নরম কাপড়ওয়ালা ফার্নিচার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
১৫. কাঠের কোনো জিনিস পরিষ্কার করতে লেমন অয়েল ব্যবহার করবেন না। এতে কাঠের সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে।
এ কয়েকটি নিয়ম মেনে আসবাবপত্রের যত্ন নিলে, আবশ্যই আপনিভাবে সেটির কাঙ্খিত লক্ষ্য পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

0 comments: