Thursday, January 11, 2018

বইয়ের তাকে আধুনিকতা

By Ripon Abu Hasnat   Posted at  11:05 AM   ফার্নিচার No comments

একটা সময় ছিল যখন পরিবারগুলোর বৈঠকখানার দেয়ালজুড়ে শোভা পেত বইয়ের তাক। কাঠের আলমারিজুড়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা বইগুলো তুলে ধরত বাড়ির মানুষগুলোর পারিবারিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আর সব বাড়িতে আলাদা পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হয় না৷ আবার অনেকের ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে পাঠাগার করতে পারেন না৷  তবে ঘরের এক কোনায় ছোট্ট জায়গাতেই বই রাখার আয়োজন করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই আপনার বাড়ির বইয়ের তাক যেন আপনার পার্সোনালিটির সঙ্গে মানানসই হয়৷

ছোট বাড়িতে বা ফ্লাটে কিন্তু দেওয়ালই ভরসা। এখন যে কোনও ফার্নিচারের দোকানেই রেডিমেড বইয়ের তাক পাবেন। কিন্তু একেবারে মাপমতো বানাতে চাইলে কারিগর দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। ডিজাইনের জন্য চিন্তা করতে হবে না। ইন্টারনেট বা যে কোনও ম্যাগাজিনেই হাজার হাজার ছবি পেয়ে যাবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিলেই চলবে। বানিয়ে নিলে দামও অনেকটা কম পড়বে। কাঠও নিজের পছন্দ মতো বাছতে পারবেন। ঘরের পুরো একটা দেওয়াল বই রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। না হলে দেওয়ালের কিছুটা ব্যবহার করতে পারেন। আবার কোনও আলমারি বা ক্যাবিনেটের কিছু অংশও ব্যবহার করতে পারেন।

তবে এখন বিশাল আকৃতির বইয়ের আলমারি নয়, বরং পাশ্চাত্য ঘরানায় ছোট ছোট নকশার বইয়ের তাক অন্দরসজ্জায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ বই একটু কাত করে রাখার যে নিয়ম, তা অনুসরণ করেই একটু আঁকাবাঁকা আর জ্যামিতিক নকশায় তাকগুলো বানানো যেতে পারে।

তাকের প্রথম অংশটা একটু বৃত্তাকার নকশায় রেখে তার সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন জিগজ্যাগ বা আঁকাবাঁকা রেখার তাক। তাকগুলোর নকশাটা এমনভাবে করা হয় যাতে কাজের ব্যস্ততার মাঝে একবার হলেও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হবে বইগুলোকে।

আলাদা কোনো দেয়ালজুড়ে নয়, বিভিন্ন ঘরের ফাঁকা দেয়ালগুলোতেই বানাতে পারেন এমন নান্দনিক নকশায় বইয়ের তাক। ঘুমানোর আগে একটু আয়েশ করে যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস তাঁরা ছোট ছোট কতগুলো বর্গক্ষেত্র নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন শোয়ার ঘরের বিছানার ওপরের দেয়ালটিতে। এ ছাড়া বসার ঘরে নান্দনিকতা যোগ করতে বড় আকৃতির গোলাকার নকশার তাক বসিয়ে দিতে পারেন।

ঘরের দেয়ালটি যদি সাদা হয় সে ক্ষেত্রে বইয়ের তাকে বাদামি বা কালো রং করতে পারেন। আবার ঘরের দেয়ালে যদি অন্য কোনো রঙের ব্যবহার করা হয় তাহলে বইয়ের তাকে সাদা রঙের প্রলেপ ভালো দেখায়।   বইয়ের তাকের যেমনই ডিজাইন করুন না কেন আলো-বাতাসের প্রয়োজনে তা খোলা রাখা উচিত ।  বইয়ের তাকে ছিমছাম কোনও রঙিন মোম, গাছ বা শোপিস রাখতে পারেন। ছোট থেকে বড়, বাড়ির প্রত্যেক সদস্য যাতে বই হাতের নাগালে পায় তার জন্য বইয়ের তাক দেওয়ালের নীচের দিকে করুন৷

বই খোঁজার সুবিধার্থে লেখকের নামের আদ্যাক্ষর, বিষয় আর প্রয়োজনীয়তা এই তিনটির যেকোনো একটি নিয়মে সাজাতে পারেন বই। সাধারণত একটু প্রয়োজনীয় বইগুলো হাতের কাছে রাখুন। এ ছাড়া দুষ্প্রাপ্য বইগুলোর দীর্ঘায়ুর জন্য চামড়া অথবা রেক্সিন দিয়ে বাঁধাই করে নিতে পারেন।

সপ্তাহে একদিন বইগুলোর ধুলো ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বইয়ের তাকের কোনায় কোনায় ন্যাপথালিন অথবা শুকনো মরিচ পোড়াও রাখতে পারেন।

About the Author

Nulla sagittis convallis arcu. Sed sed nunc. Curabitur consequat. Quisque metus enim, venenatis fermentum, mollis in, porta et, nibh. Duis vulputate elit in elit. Mauris dictum libero id justo.
View all posts by: BT9

0 comments:

Back to top ↑
© 2013 ফার্নিচার জগত. WP Mythemeshop Converted by Bloggertheme9
Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.